1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ামতপুরে গ্রামে গ্রামে ফেরিওয়ালার বিকিকিনি

আপলোড সময় : ১৩-১২-২০২৩ ০১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১৩-১২-২০২৩ ০১:৫৩:১৪ পূর্বাহ্ন
নিয়ামতপুরে গ্রামে গ্রামে ফেরিওয়ালার বিকিকিনি
সবুজ সরকার, নিয়ামতপুর (নওগাঁ): ছেলের গায়ে ফুলহাতা নীল গেঞ্জিটা পরিয়ে গৃহবধূ আয়েশা খাতুন ভালোকরে দেখছিলেন ঠিকঠাক হলো কিনা। আর কৃষক ফইমুদ্দিন মাফলারটা মাথায় জড়িয়েই দরদাম শুরু করে দিলেন।

নওগাঁ নিয়ামতপুরের গ্রামে গ্রামে এখন এমনই দৃশ্যের চোখে পড়ছে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে দেখা গেল, এসব ফেরিওয়ালারা ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গ্রামে ঢুকে হাঁকডাক শুরু করলেই গৃহবধূ ও শিশুরা ভ্যানের কাছে ভিড় করছেন। কোন কোন ফেরিওয়ালার ভ্যানে মাইক বাজতে দেখা গেল।

ফেরিওয়ালারা জানালেন, প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে এ ঋতু। আর ধানের জেলার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধান কাটা-মাড়াই শেষ হলেই শীতের পোশাকসহ মেয়েদের ও বাচ্চাদের পোশাক নিয়ে গ্রামে গ্রামে বেরিয়ে পড়ি। ফেরিওয়ালা খায়রুল ইসলাম জানালেন, সারা বছরই আমাদের বেচা বিক্রি ভালো হয়। এ উপজেলা ধান-প্রধান হওয়ায় ধান কাটা মাড়াই হওয়ার পরে গৃহবধূদের হাতে হাতে টাকা আসে । তখন তারা নিজেদের ও পরিবারের জন্য বিভিন্ন পোশাক কেনে।

তিনি জানালেন, আমি সাধারণত মহিলাদের ও বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করে থাকি। এই শীতের সময় বাচ্চাদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হয়। আরেক ফেরিওয়ালা জিয়ারুল ইসলাম জানালেন, ধান কাটা মারার পরে গ্রামের বৌ-বেটিরা অবসর পান। "শিশাড়ি" ধান মাড়াই হলে তাদের হাতে টাকা আসে। তখন বাচ্চাদের জন্য শীতের পোশাক ও নিজেদের জন্য বিভিন্ন কাপড় কেনেন।

উপজেলার ভাবিচা মালিপাড়া গ্রামের গৃহবধূ আয়েশা খাতুন জানালেন, সব সময় হাটে বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাড়ির কাছে এই ফেরিওয়ালাদের পাওয়া যায়। আমার বাচ্চার জন্য একটা ফুলহাতা গেঞ্জি প্রয়োজন ছিল।ফেরিওয়ালা কে দেখে একটা নীল রংয়ের গেঞ্জি কিনলাম ।

একই গ্রামের গৃহবধূ বেবি রানী জানালেন, আমার বাচ্চার জন্য কয়েকটা পায়জামা কিনলাম। বাড়ির কাছে পাওয়ায় খুব সুবিধা হয়। দামও তুলনামূলক কম পাওয়া যায়। উপজেলার চৌপুকুরিয়া গ্রামে কম্বল ও ছোট বাচ্চাদের হুডি বিক্রি করছিলেন মো: মন্টু। তিনি জানালেন, ঘূর্ণিঝড়ের পরে শীত পড়েছে। তাই লোকজন কম্বল কিনছে।

কম্বল কিনলেন চৌপুকুরিয়া গ্রামের মো: মোখলেছুর রহমান। বললেন, কয়েক দিন হলো খুব শীত পড়ছে। এসব ফেরিওয়ালার কাছে কম দামে ভালো কম্বল পাওয়া যায়। তাই একটা কম্বল কিনলাম।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ